ফেসবুক বহুল ব্যবহৃত সোস্যাল মিডিয়া Facebook

Table of Contents

ফেসবুক

ফেসবুক স্ট্যাটাস পড়ে বা ফেসবুক স্ক্রল করেই দিন
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফেসবুক; এক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। তরুণ থেকে শুরু করে রয়স্করাও এর প্রতি আসক্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ এর সহজলভ্যতা ও অতিরিক্ত জনপ্রিয়তা। বর্তমান তরুণ সমাজ ফেসবুক ছাড়া ;তাদের জীবন কল্পনাও করতে পারে না। আজ আমরা এর প্রভাব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।

২০০৪ সালে মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়; তার কয়েকজন বন্ধু মিলে এটি তৈরি করেন। প্রথমকার দিনে তারা শুধু নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান; প্রদান করার জন্য তৈরী করেন। কিছুদিন তা হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ আস্তে আস্তে তা শহরের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্মুক্ত করা হয়। একই সাথে ১৩ বছর ও ততোধিক; বয়স্তদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এর পর তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এর ব্যবহার কারীর সংখ্যা ২৫০মিলিয়ন।

প্রথমদিকে শুধু নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করার জন্য ;ব্যবহার হলেও বর্তমানে এর ব্যবহার অনেক। অনেক ইতিবাচক দিক থাকলেও ;এর নেতিবাচক দিকই বেশি বর্তমান তরুণ সমাজে। ফেসবুক বর্তমানে এক আসক্তির নাম।

আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক কোনটি? বেশিরভাগ মানুষ যা উত্তরে বলবে তা ফেসবুক। আজকাল, ফেসবুকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যোগদান করছে। বাংলাদেশের তরুণ থেকেক শুরু করে বয়স্করাও এর প্রতি আসক্ত। অনেকে আছে যাদের ফেসবুকে কোন কাজ থাকে না ; তারাও তাদের ফেস ফেসবুক রিফ্রেশ করে যখন তাদের কিছুই করার থাকে না।
নববহ্নি

ফেসবুক এর ইতিবাচক দিক

ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করলে; অনেক ভাল কাজ হতে দেখা যাবে। ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে অনাআসেই যোগাযোগ করা যায়। তাছাড়া নতুন বন্ধু তৈরী ও পুরানো বন্ধুদের খোজ পাওয়া যায়। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে অনেকে এটি ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান সময়ে অনলাইন ক্লাসের সময়সূচী; ফেসবুকের মাধ্যমে জানা যায়।

তরুণরা ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। কারো কোন বিষয়ে জানার থাকলে কিংবা কেউ কোন সমস্যায় পড়লে ;ফেসবুকের বন্ধুরা এর সমাধান দিতে পারে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেথা দিলে তরুণরা মিলে গ্রুপ খুলে; সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের সাথে দ্রুত সময়ে তথ্য আদান প্রদান করা যায়। এর মাধ্যমে একে অপরের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে।

ফেসবুক স্টাটাস

জনমত তৈরীতে ফেসবুক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চলতি কোন ইস্যু নিয়ে ফেসবুকে মতামত ও বিতর্ক করতে পারে। তরুণরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারে। এতে মানুষের মধ্যে জনমত তৈরী হয়। বর্তমানে ফেসবুক অনলাইন বিজনেস এর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচীর মাধ্যম হিসেবে অনেকে ব্যবহার করছে।

আরো পড়তে পারেন ঘুম আসার উপায় ও রাতে দেরীতে ঘুমানোর কারণ ও অপকার

কিছু লোক এমনকি অন্যদের সাথে যোগাযোগ রাখতে ফেসবুক ব্যবহার করে।বর্তমানে ফেসবুক ইতিমধ্যে আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে; এবং এটি আমাদের জীবনকে চারটি দিক থেকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। এটি আমাদের অনলাইন জীবন, আমাদের পিতামাতার সাথে সম্পর্ক, আমাদের বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক এবং; আমাদের একাকীত্বের অনুভূতিকে সহজ করেছে; তেমনি বাড়িয়েও দিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। নিউউয়র্ক টাইমসের মতে রোহিঙ্গাদের উপার আক্রমন চালাতে মিয়ানমারের সেনারা; অনলাইন প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। তাদের দাবি ফেসবুকের নিউজফিড; সহিংসতা ছড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।

নেতিবাচক দিক

ফেসবুক সাইবার বুলির জন্য এটি খুব সহজ হয়ে দাড়িয়েছে বর্তমান সময়ে। বিভিন্ন বিষয় বা কোন ব্যক্তিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য ;করা বর্তমানে প্রতিনিয়ত লক্ষ করা যায়। অনলাইনে আপনি হয়ত আপনার বন্ধু ও আত্নীয় স্বজনদের সাথে কথা বলছেন ঘন্টার পর ঘন্টা কিন্তু বাস্তবে আপনি সত্যিই কিছু করতে পারেননি। যা আপনাকে একাকিত্ববোধ এনে দিতে পারে। ফেসবুকের সমালোচকরা দাবি করেন যে, এটি একটি বিশ্বব্যাপী বিভ্রান্তি এবং এমনকি আবেশ ছড়চ্ছে; যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়।

অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ফেসবুক। সমাজে নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, যা তরুণদেরকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অতিরিক্ত ফেসবুক চালানোর কারণে তরুণরা বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। পড়াশুনার প্রতি অনীহা দেথা যায় তাদের মাঝে। অনেকে হয় প্রতারণার শিকার। বর্তমানে যেটা বেশি দেখা যায় তা হল ব্লাকমেইল করার প্রবনতা।

বর্তমানে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যপক হারে অশ্লীল ভিডিও; থুব সহজেই আদান-প্রদান করা যায়। অনেক সময় ফেসবুক পরিবার, বন্ধুবান্ধর ও আপন মানুষদের মধ্যে দূরত্ব তৈরী করছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্ত-দন্দ্ব ; অনেকটা ফেসবুকের উপর নির্ভর করে।

ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ খুব দ্রুত হওয়ায় ; বিভিন্ন অপরাধ যেমনঃ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, প্রশ্ন ফাঁস রেজাল্ট জালিয়াতি এসব কাজ হয়ে থাকে।

পরিশেষে বলা যায় আমাদের দেশের তরুণরা ফেসবুক দিয়ে সময় অপচয় করে বেশি। ঘন ঘন ছবি আপলোড, স্ট্যাটাস দেওয়ার ফলে ব্যক্তিগত জীবন আর নিজের মধ্যে থাকছে না। যা দীর্ঘমেযাদী ক্ষতির কারণ, এক সময় যা জীবনে নেতিবাচক প্রভাবক ফেলে। রাত েজেঘে ফেসবুক চালানোর ফলে তরুণরা ;অলস ও হীনমোন্যতায় ভোগে।

সে জন্য ফেসবুককে সামাজিক কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে; সমাজ ও রাষ্টের কল্যাণে তরুণরা এগিয়ে আসতে পারবে।

আমাদের সাথে যুক্ত হতে লাইক দিননববহ্নি পেজ এ

ফেসবুক স্ট্যাটাস,
ফেসবুক স্টাটাস,
ফেসবুক স্ট্যাটাস ছবি,
স্মার্ট ফেসবুক স্ট্যাটাস,
ফেসবুক চালু ,
ফেসবুক ক্যাপশন ,
ফেসবুক লগইন ,
ফেসবুক ডাউনলোড ,
ফেসবুক ডাউন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *