ভাষা কাকে বলে
মানুষের মুখে উচ্চারিত অর্থবোধক ও মনোভাব প্রকাশক ধ্বনি সমষ্টিকে ভাষা বলে।
অন্যকথায়,
ভাষা হল বাগযন্ত্রের সাহায্যে তৈরি শব্দার্থিক শব্দ বা সংকেত যার সাহায্যে মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। এখানে বাগযন্ত্র বা ভোকাল কর্ড হল খাদ্যনালী, মুখ, গলা, জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদির সমাবেশ।আরও সহজভাবে, ভাষা হল অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা শব্দের সংখ্যার সমষ্টি যা একজন ব্যক্তির মুখ থেকে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার জন্য বেরিয়ে আসে।
মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে। মৌলিক সংখ্যা কতটি
পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো মানুষ কে
জ্যামিতি কাকে বলে? জ্যামিতি শব্দের অর্থ কি
রেখা কাকে বলে ও কত প্রকার।রেখাংশ কাকে বলে
চতুর্ভুজ কাকে বলে। বৈশিষ্ট্য ও কত প্রকার কি কি
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে,
“ভাষা হল সেই সকল ধ্বনির সমষ্টি যার দ্বারা মানুষ তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করে।”
ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে,
“ভাষা হল একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যবহৃত শব্দের সমষ্টি যা মনের চিন্তা প্রকাশ করার জন্য, যন্ত্র দ্বারা উচ্চারিত ধ্বনি দ্বারা সম্পাদিত, একটি নির্দিষ্ট সমাজে পৃথকভাবে ব্যবহৃত হয়।”
ভাষা ও ব্যাকরণের আগে ভাষা সৃষ্টি হয়েছে। জনগোষ্ঠী ভেদে বাক্যের গঠন ও ভাষা আলাদা হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ত্রিপুরা, বিহার ও উড়িষ্যার ভাষা বাংলা। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলা পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। অতীতে প্রচলিত সংস্কৃত ভাষার সাথে বাংলা ভাষার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।
ভাষার মৌলিক অংশঃ
প্রত্যেক ভাষারই চারটি মৌলিক অংশ থাকে।
১। ধ্বনি
২। শব্দ
৩। অর্থ
৪। বাক্য
বাংলা ভাষা রীতিঃ
বাংলা ভাষা রূপ দুটিঃ
১। লৈখিক বা লেখ্য রূপ
২। মৌখিক বা কথ্য রূপ
লৈখিক বা লেখ্য রূপ এর রয়েছে দুটি রীতিঃ ১। সাধু রীতি ২।চলিত রীতি
মৌখিক বা কথ্য রূপ এর রয়েছে দুটি রীতিঃ ১। চলিত কথ্য রীতি ২। আঞ্চলিক কথ্য রীতি
![ভাষা কাকে বলে](https://nobobohni.com/wp-content/uploads/2022/07/ভাষা-কাকে-বলে-300x169.png)
সাধু রীতি/ ভাষাঃ
সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা হিসেবে ধরা হয়। সাহিত্য রচনা, উপন্যাস ও দাপ্তরিক কাজে এ ভাষার ব্যবহার অতীতে লক্ষ করা যায়। এ ভাষার বিকাশ ঘটে উনিশ শতকের দিকে। প্রথম সাধূ ভাষার প্রযাাগ ঘটান রাজা রামমোহন রায়।
চলিত রীতি/ ভাষাঃ
সাধারণত মানুষের মুখের ভাষাকে বলা হয় চলিত ভাষা। চলিত ভাষার আদর্শরূপ থেকেই সৃষ্টি হয় প্রমিত ভাষা।
বাংলা ভাষা কাকে বলে
নববহ্নি