রোজা ভঙ্গের কারণ
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সাওম বা রোজা একটি। প্রত্যেক মুসলিমের উপর রোজা রাখা ফরজ ও অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা রোজাকে ফরজ করেছেন। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার নাম হল সাওম বা রোজা । ধনী গরিব সকলের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। মহানবী(সঃ)বলেছেন রোজা মুমিনদের জন্য ঢালস্বরূপ।
আজকের লেখাটিতে আমরা রোজা ভঙ্গের বেশ কিছু কারণ দেখবো। আশা করি এখান থেকে উপকৃত হতে পারবেন। রোজা ভঙ্গের কিছু কারণ নিচে দেওয়া হলঃ
এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয় জানুন রিস্তারিত
পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো মানুষ কে
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ কোনটি।১০ টি বৃহত্তম দেশ
পৃথিবীতে কয়টি দেশ আছে। জানুন মোট দেশের সংখ্যা
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন
…
১. আবার ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া বা পান করা এই ভেবে যে, ভুলে খাওয়া বা পান করতে গিয়ে রোজা ভেঙ্গে গেছে।
২. বিড়ি-সিগারেট বা হুক্কা খাওয়া।
৩. কাঁচা ভাত, আটার খামির বা প্রচুর লবণ একসঙ্গে খাওয়া।
৪. এমন কিছু খাওয়া যা সাধারণত খাওয়ার যোগ্য না বা খাওয়া হয় না। যেমন- কাঠ, লোহা, কাগজ, পাথর, মাটি, কয়লা ইত্যাদি।
রোজা ভঙ্গের কারণ
৫. পাথর, কাদামাটি, নুড়ি, তুলার সুতা, ঘাস, খড় এবং কাগজ গিলে ফেলা ।
৬. নিজের থুথু নিজে হাতে নিয়ে গিলে ফেললে।
রোজা ভঙ্গের কারণ
৮. কান বা নাকের মাধ্যমে তরল ঔষধ দেয়া।
৯. দাঁত থেকে রক্ত বের হলে তা যদি লালার চেয়ে বেশি হয় এবং কন্ঠনালীতে চলে যায়।
১০. পান মুখে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া এবং এ অবস্থায় সকালে সুবহে সাদিক করা।
রোজা ভঙ্গের কারণ
১১. হস্তমৈথুন করা
১২। রোজা রাখার সময় মুখে বা নাকে পানি দেওয়ার সময় কন্ঠনালীত পানি যাওয়া।
১৩। কাউকে জোর করে খাওয়া-দাওয়া করানো।
১৪। রাত মনে করে সাদিকের পর সাহরি খাওয়া হলে।
১৫. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা বা বমি করার পরে তা গিলে ফেলা।
১৬. সূর্যাস্ত হয়ে গেছে ভেবে ভুলে ইফতার করা।
১৭. যদি কেউ রাত হয়ে গেছে ভেবে স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়, তবে সুবহে সাদিকের কথা জানতে পারে এবং সাথে সাথে সহবাস থেকে বিরত থাকে।
১৮. বৃষ্টি বা বরফের টুকরা খাদ্যনালীর ভিতর প্রবেশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।