দর্শন কাকে বলে
কোনো স্পষ্ট সংজ্ঞা অল্প কথায় দেওয়া যায় না। কিন্তু ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে মানুষ যুগে যুগে দর্শনকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে বা করার চেষ্টা করেছে। ইতিহাসে বিখ্যাত দার্শনিকদের দেওয়া সংজ্ঞাগুলো পর্যালোচনা করলে যে সারসংক্ষেপ পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় যে, প্রত্যেক দার্শনিকই জগতের জীবনের ব্যাখ্যা, জগতের সঙ্গে জীবনের সম্পর্ক, স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির সম্পর্ক ইত্যাদির ওপর জোর দিয়েছেন। ইত্যাদি
বিজ্ঞান কাকে বলে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে ।
অর্থনীতি কাকে বলে। অর্থনীতির সংজ্ঞা পরিধি ও বিষয়বস্তু
ব্যবস্থাপনা কাকে বলে। সংজ্ঞা পরিধি ও গুরুত্ব
সমকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে। সমকোণী ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল
দর্শনের কয়েকটি প্রামাণিক সংজ্ঞা
কিছু বিখ্যাত দার্শনিক কর্তৃক প্রদত্ত দর্শনের সংজ্ঞা এখানে উল্লেখ করা হলো-
গ্রীক দার্শনিক প্লেটোর মতে, “দর্শনের লক্ষ্য বস্তুর শাশ্বত এবং মৌলিক প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা”।
অ্যারিস্টটলের মতে, “যে বিজ্ঞান আদিম প্রাণীর প্রকৃতি এবং এই প্রকৃতির অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসন্ধান করে তাই দর্শন”।
হার্বার্ট স্পেন্সার বলেছেন, “বিকৃত জ্ঞান হল নিকৃষ্ট জ্ঞান। বিজ্ঞান আংশিকভাবে সমন্বিত জ্ঞান। দর্শন হল সম্পূর্ণ একতা বা জ্ঞান যা বিভিন্ন বিজ্ঞানের সাধারণ সত্যকে অভ্যন্তরীণ এবং একত্রিত করার ফলে হয়”।
কানিংহাম বলেছিলেন, “একজন মানুষ দার্শনিক হবে কি হবে না সেটা প্রশ্ন নয়; প্রশ্ন হল ভাল এবং মন্দ দুটি দর্শনের মধ্যে নির্বাচন করা”।
দর্শন কাকে বলে.
শেলিং-এর মতে, “দর্শন হল বিশ্ব ঠিক কী তা নির্দিষ্ট করার প্রয়াস যেভাবে মন এটি বুঝতে পারে এবং মন ঠিক কী তা বিশ্ব এটি বুঝতে পারে”।
এবং. J. Hirst এর মতে, “দর্শন হল বিশ্ব এবং মানব প্রকৃতি সম্পর্কে কিছু মৌলিক সমস্যার যৌক্তিক উত্তর অনুসন্ধান করা”।
ভিনিসিয়াস “amnx” আমানো এই 3D শিল্পকে অনুপ্রাণিত করেছেন ফ্রি থিঙ্কার ভাস্কর্য থেকে, যা দর্শনের প্রতীক।
ভিনিসিয়াস “amnx” আমানো (আনস্প্ল্যাশ থেকে) এর এই 3D শিল্পটি দর্শনের প্রতীক, ফ্রি থিঙ্কার ভাস্কর্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল৷
উপরোক্ত সংজ্ঞাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে,
জীবন ও জগতের চারপাশে উদ্ভূত মৌলিক সমস্যার যৌক্তিক অনুসন্ধান এবং সেই পথে এর যৌক্তিক প্রতিফলন হল দর্শন।
দর্শন কাকে বলে
