বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

Table of Contents

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

independence day paragraph

ভূমিকাঃ

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ; ও বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে তার অবদান ও ত্যাগ ভুলবার নয়। আমদের উচিত তার জীবনী সম্পর্কে গভীর ভাবে জানা । আজ আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে রচনা আকারে আলোকপাত করবো।
বাংলা রচনা; গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাংলা রচনা সমগ্র

জন্ম ও পারিবারিক পরিচয়:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৬ মার্চ পূর্বে ফরিদপুর ও বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং; মাতার নাম সায়েরা খাতুন। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে; তিনি ছিলেন তৃতীয় ।
আরো পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর কবিতা। ১৫ আগস্ট নিয়ে কবিতা
পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো মানুষ কে
বঙ্গবন্ধুর জীবনী সাধারণ জ্ঞান;বঙ্গবন্ধু রচনা;সাধারণ জ্ঞানpdf

শিক্ষাঃ

১৯২৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বয়স ৭ বছর তখন তিনি স্থানীয় গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর ১৯২৯ সালে ৯ বছর বয়সে তাকে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি করানো হয়। পরে তিনি মিশনারি স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৩৪ সালে যখন তিনি বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন, তখন তার প্রায় ৪ বছর পড়াশোনা ছিল। তারপর ১৯৩৬ সালে তিনি আবার মিশনারি স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে তিনি ১৯৪২ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তির সুযোগ পান এবং বেকার হোস্টেলে থাকতে শুরু করেন। তিনি ১৯৪৪ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনের সমর্থন ও নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এবং আইন অধ্যয়নরত অবস্থায় তাকে তার ছাত্রজীবনের ইতি টানতে হয়। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

রাজনীতি-পূর্ব জীবন:

বিশ্ব রাজনীতির অবিসংবাদিত নেতা এবং বাংলা ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি শুরুর আগে থেকেই গ্রামের দরিদ্র মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে নিজের মধ্যে এক ধরনের তারণা অনুভব করতেন। তার মাথায় ছিল এই দরিদ্র মানুষের জন্য কিছূ একটা করতে হবে। ছোট বেলা থেকেই ক্ষুধার্তদের মুখে নিজের খাবার তুলে দেওয়ার ঘটনা দু-একটি নয়; বরং অনেক। তাছাড়া শীত এলেই অনেক অসহায় শীতার্ত মানুষকে নিজের চাদর দান করে দিয়েছিলেন। তাছাড়া তখন থেকেই বঙ্গবন্ধু ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেন। অন্যায় যতই শক্তিশালীই হোক না কেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিশোধ নিতে কখনো দ্বিধা করতেন না।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

২১ আগস্ট/ফেব্রুয়ারি নিয়ে কবিতা

রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ও বিশেষ অবদানঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ছাত্রাবস্থা থেকেই। আর তার রাজনৈতিক জীবনে বিশেষ অবদান রয়েছে।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এর তাৎপর্য রচনা (বাংলা রচনা)

ভাষা আন্দোলন:

প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আইনসভায় ঘোষণা করেন যে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গ্রহণ করবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবিলম্বে এই ঘোষণার প্রতিবাদ করেন। ২ মার্চ ফজলুল হক মুসলিম হলে ভাষা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হলে বঙ্গবন্ধুর পরামর্শে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১১ মার্চ হরতাল চলাকালে সচিবালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন আবার ঘোষণা করেন, ‘উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদকে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিবস হিসেবে পালন এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আহ্বান জানান। এর দাবিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে ছাত্র-জনতা ঢাকার রাজপথে মিছিল করলে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। এতে সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত, সফিউরসহ বহু মানুষ শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারাগারে বসে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ১৩ দিন অনশন চালিয়ে যান। তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
বঙ্গবন্ধু ওবাংলাদেশ রচনা

আগরতলা মামলার আসামী:

১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার আগরতলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মোট ৩৫ জন সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর ১৯ জুন কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে আগরতলা মামলার বিচার শুরু হয়।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা
Essay Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman

গণঅভ্যুত্থান:

৬ দফাসহ ১১টি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। আগরতলা মামলা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরিষদ দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন শুরু করে। একপর্যায়ে এই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ২২ ফেব্রুয়ারি সরকার আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত এক সংবর্ধনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

বাংলাদেশের নামকরণ:

১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

নির্বাচনী বিজয়:

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ববঙ্গ জাতীয় পরিষদের ১৬২টি আসন ভিত্তিক আসনের মধ্যে ১৬০টিতে জয়লাভ করে। তাছাড়া, সংরক্ষিত ৬টি মহিলা আসন সহ আওয়ামী লীগের মোট আসন সংখ্যা ১৬৭টি। আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসন ভিত্তিক আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়লাভ করেছে। এছাড়া ১০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ আওয়ামী লীগের মোট আসন সংখ্যা ২৯৮টি; বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

আরো পড়ুনরচনা-মানব কল্যাণে বিজ্ঞান(২টি রচনা)- বাংলা রচনা
স্বাধীনতা দিবস রচনা-Independence Day Essay(বাংলা রচনা)
বিজয় দিবস রচনা (২ টি রচনা) বাংলা রচনা

Indepandence Day ৭ই মার্চের ভাষণ
বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ

১৯৭১ সাল:

১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সত্ত্বেও, পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা হিসেবে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।” ১৮ মিনিটের ভাষণে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানান। ১৬ সালে, ইউনেস্কো তার ঐতিহাসিক ভাষণটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পরবর্তীতে এই অসহযোগ আন্দোলন আরো তীব্র হয়। অন্যদিকে ইয়াহিয়া ও জুলফিকার আলী ভুট্টো সাধারণ আলোচনার নামে তালবাহানা ও নরের নামে সময় কাটাতে থাকেন। এরপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তথাকথিত ‘ওপারেশন সার্চলাইট নামে নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ সদর দপ্তর । এ ভয়াবহ অবস্থায় রাত ১২টা ২০ মিনিটে অর্থাৎ ২৬শে মার্চ এর প্রথম ‘প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের; স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পর পরই রাত দেড়টায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ চলে। ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ ৭৬ হাজার মা-বোনের লাঞ্ছনার বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হলে; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দারায়। যার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। কিন্তু প্রায় দশ মাস পাকিস্তানের কারাগারে তাকে নির্যাতন করা হয়। হয়। এমনকি ১৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের লায়লপুর অন্তর্বর্তী আদালতে গোপন বিচারে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব নেতাদের চাপে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সাহস হয়নি। পরিবর্তে, ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ওই দিনই তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লন্ডনে পাঠানো হয়। ৯ জানুয়ারী লন্ডনে, তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সাথে দেখা করেন। এরপর লন্ডন থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে দিল্লিতে থামেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। ১০ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছালে তাকে এক অবিস্মরণীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে গিয়ে অশ্রুসজল চোখে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ১২ জানুয়ারী, তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এবং একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত জাতি গঠনে কাজ শূরু করেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

জাতি গঠনে অন্যতম প্রধান অবদান:

সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অর্থনৈতিক ঝুঁকির মুখে ১৭৫,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য চাল-ডালসহ সম্পূর্ণ রেশন ব্যবস্থা চালু করেন। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে বই ও জামাকাপড় প্রদান করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে অষ্টম নতুন স্কুল সরকারী করেন। এরপর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। হকারদের পুনর্বাসনের জন্য ‘হকাস মার্কেট’ নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি ২৫ বিঘা জমির খাজনা মওকুফ করেন এবং ১০০ বিঘা জমির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেন। ২৫০ টির মত ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ-কালভার্ট, ধ্বংসপ্রাপ্ত কারখানা ও রাস্তাঘাট পুনর্গঠন ও মেরামত করেন। বঙ্গবন্ধু আর্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বল্প সময়ে জাতির জন্য একটি নিখুঁত সংবিধান পেশ করেন যা ইতিহাসে বিরল। তিনি পবিত্র ধর্ম ইসলামের সেবায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যেমন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সম্প্রসারণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা; বিশ্ব ইজতেমার স্থান দান; রেডিও ও টিভিতে কোরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করা; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন ইত্যাদি।বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা;বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ

ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা:

১৫ আগস্টের সেই ভয়ঙ্কর রাত। পবিত্র শুক্রবারের দিন। রাতের নীরবতা ভেঙে মসজিদে বাজছে ফজরের আজান। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিপথগামী অংশ কর্তৃক ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িতে কুখ্যাত হামলা চালায়। যা ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয়ে থাকে। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ব্যাতীত তার ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যসহ তিনি শহীদ হন।বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা
বঙ্গবন্ধুর জীবনী সাধারণ জ্ঞান;বঙ্গবন্ধু রচনা;সাধারণ জ্ঞানpdf

উপসংহারঃ

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যত দিন এ বাংলা থাকবে বাঙালীর ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণকারে লেখা থাকবে তার নাম। বাঙালী জাতি আজীবন শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে জাতীর এই সূর্য সন্তানকে।
আমাদের সাথে যুক্ত হতে লাইক দিননববহ্নি পেজ এ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ৫০০ শব্দ

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ৫০০ শব্দের

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা
Read our English Paragraph:

load shedding paragraph For class 1,2,3,4,5,6,7,8,9
A winter morning paragraph for JSC/SSC/HSC 250-300 word
paragraph traffic jam 2022 for Class PSC/JSC/SSC/HSC

Check Also

স্বাধীনতা দিবস রচনা

স্বাধীনতা দিবস রচনা- (২৬শে মার্চ ) Independence Day Essay (26 March) (বাংলা রচনা)

স্বাধীনতা দিবস রচনা independence day paragraph ভূমিকা: স্বাধীনতা মানে স্বাধীন বা স্বাধীন হওয়ার অবস্থা। স্বাধীনতা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *